স্টাফ রিপোর্টার
আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। জানালেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি জয়লাভ করতে চান। নায়িকা বলেন, ‘আমি বরাবরই যোদ্ধা। যুদ্ধ করেই জয়লাভ করব, ইনশাআল্লাহ।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মাহিয়া মাহি। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর যাচাই-বাছাই শেষে গত ৩ ডিসেম্বর তার প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে রাজশাহী জেলা প্রশাসক। মাহির তিনজন ভোটারের তথ্য ঠিক ছিল না বলে জানানো হয়।
এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন মাহি। আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন সোমবার দুপুর আড়াইটায় তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এ সময় মাহি ইসি চত্ত্বরে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন স্বামী রাকিব হাসান সরকার।
মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার পর মাহি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। হাতে আঙুল উঁচিয়ে বিজয়সূচক চিহ্নও দেখান। এরপর শুরু হয় সাংবাদিকদের প্রশ্ন।
নির্বাচনের মাঠে কোনো চাপ আছে কি না? মাহি বলেন, ‘চাপ তো অবশ্যই আছে। কারণ কে চাইবে হেরে যেতে। হারতে কেউ পছন্দ করি না, সেটা চাইও না। সবাই যার যার জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করবে। ওই এলাকার মানুষ আমাকে চায়। ইনশাআল্লাহ, বিপুল ভোটে তারা আমাকে বিজয়ী করবে।’
নির্বাচন কমিশনে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন কি না তা নিয়ে টেনশনে ছিলেন জানিয়ে মাহি বলেন, ‘আমি আমার জায়গায় সৎ ছিলাম। আজকে সেটারই প্রতিদান পেয়েছি। এটাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
রাজশাহীতে আপনার জনপ্রিয়তা কেমন? সেখানে নৌকার প্রার্থী আছে, আপনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। লড়াইটা কেমন হবে? মাহি বলেন, ‘একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। কারণ, সেখানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমার এলাকার লোকজন আমাকে জোর দিয়ে নির্বাচন করতে বলেছে।’
এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাহিয়া মাহি। সেখান থেকে দল মনোনয়ন দিয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানকে। এরপর মাহি রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। সেই মতো রাজশাহীর রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন মাহি। সে বারও তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে মাহি দুটি পদ পান। এর মধ্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন এবং রাজশাহী বিভাগীয় কমিটিতে পান আহ্বায়কের দায়িত্ব। শুরু হয় রাজনীতিতে মাহির পথচলা।