“যুবকরাই দেশের প্রাণশক্তি “
আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আজকে যে শিশু সেই শিশুই আগামী দিনে হবে যুবক এবং সেই যুবকরাই একসময় চালাবে এই দেশ। তাই শিশু অবস্থা থেকেই প্রতিটি শিশুকে শেখাতে হবে সততা, নৈতিকতা, শিষ্টাচার এবং সভ্যতা। আজকের শিশুকে এ সকল শিক্ষা যদি না দেওয়া যায় তাহলে সে কখনো আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে না এটাই স্বাভাবিক। তাই শৈশব কাল থেকেই শিশুকে এসব সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার দায়িত্ব পিতা-মাতা এবং অভিভাবকের। যে সন্তানের পিতা-মাতা এবং অভিভাবক এ সকল বিষয়গুলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করেন তাদের সন্তান কখনো খারাপ হতে পারে না। প্রত্যেকটি সন্তানই তার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের নিকট হীরের টুকরা। তবে সেই হীরের টুকরাকে যদি প্রকৃত সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা না যায় তবে তা একখণ্ড জঞ্জালে পরিণত হয় হয়। যা কিনা সমাজের কাছে হয় ধিকৃত এবং ঘৃণিত। শিশু অবস্থা থেকে যুবককে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন পিতা-মাতা বা অভিভাবক যদি তার সন্তানকে সুশিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে পারেন তবেই সেই সন্তান হবে একজন প্রকৃত মানুষ যে কিনা সমাজ সংস্কৃতি এবং দেশের জন্য হবে বড় সম্পদ। সমাজ এবং দেশ আপনার আমার কাছে অনেক কিছুই আশা করে। তাই সমাজ এবং দেশকে কিছু দিতে আমাদের অনেক দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে। তার ভিতরে অন্যতম দায়িত্ব এবং কর্তব্য হলো সন্তানকে একটি আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।
বর্তমান সময়ে একটা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নগদ মোটা টাকার লোভে মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে দেশের যুবসমাজ জড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে সরকার এ সকল কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তা সত্ত্বেও এ সকল কর্মকান্ড পুরাপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে মোবাইল গেমিং এবং ইভটিজিং। যুব সমাজকে এ সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে না পারলে সমাজ-সংস্কৃতির অবক্ষয় অবধারিত। যুবসমাজের এই অবক্ষয় থেকে বিরত রাখতে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগকারী সংস্থায়ই যথেষ্ট নয়। এর জন্য বেশি প্রয়োজন পিতা-মাতা অভিভাবকের অনেক বেশি সচেতন হওয়া, পাশাপাশি আমরা যে যেখানে আছি তাদের সকলের স্ব স্ব স্থান থেকে তরুণ ও যুবকদের বেশি বেশি সচেতন করা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করা। তাহলেই গড়ে উঠবে একটা সুন্দর, সুশৃংখল জাতি এবং আমরা পাব সুখ ও শান্তি।
একটা ডিগ্রি নিয়েই চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে কিভাবে কিছু করা যায় নিজে কাজ করবো আরো দশ জনকে কাজ করার সুযোগ দেব, নিজে উদ্যোক্তা হব, নিজেই বস হব। এ কথাটা মাথায় রাখতে হবে যে আমি আমার বস হব, আমি কাজ দেব। আমার মধ্যে সেই শক্তিটা আছে যে শক্তি কাজে লাগিয়ে আমি প্রতিষ্ঠিত হবো এবং অন্যকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ দেব।
২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই অগ্রযাত্রায় কাণ্ডারি হবে দেশের যুবসমাজ।তরুণরাই দেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। মাদক ও জঙ্গিবাদ যেন যুবসমাজকে বিপথগামী না করে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। স্মার্ট যুব, সমৃদ্ধ দেশ, গড়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার যুবদের কর্মসংস্থানের জন্যে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদানসহ কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
যুবকরাই জাতির প্রাণশক্তি। দেশের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুবসমাজ। সরকার যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। যুবসমাজ দেশের অতিমূল্যবান সম্পদ। যুবসমাজ যার বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। দেশের সকল যুবদের কাজে লাগাতে পারলে দেশ আরো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।
ইঞ্জিনিয়ার ওয়াহিদ মুরাদ,